গোদাগাড়ীতে গ্যাসের বেলুন বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কলিপুর এলাকায় গ্যাসের বেলুন বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন—গোদাগাড়ী উপজেলার সহাপানিয়া গ্রামের জলাশ্বরী (৩৫), মাটিকাটা গ্রামের রাজিকুল (৬৫), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজরাপুকুর গ্রামের একরামুল (৫৪), একই উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের রনি (২৫) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ এলাকার হামিম (২০)।

এ ছাড়া তানোর উপজেলার বৈদ্যপুর গ্রামের সখিনা (৩৫) ও গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলুপুর গ্রামের রায়হান (৩২) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী ৩১-শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স আব্দুস সালাম।

স্থানীয়রা জানান, গোদাগাড়ী থেকে আমনুরাগামী একটি অটোরিকশার পেছনে প্রায় ৪০টি গ্যাসের বেলুন বাঁধা ছিল। পথে কলিপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বিকট শব্দে বেলুনগুলো বিস্ফোরিত হয়। এতে অটোরিকশার ভেতরে থাকা যাত্রীরা আগুনে দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধদের শরীরের বড় অংশে পোড়া ক্ষত রয়েছে এবং তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশায় অতিরিক্ত গ্যাসের বেলুন বহনের সময় ঘর্ষণ বা আগুনের স্ফুলিঙ্গ থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।”

রামেক বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনিন বলেন, “এখন পর্যন্ত চারজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সবাই দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁদের ক্ষত কতটুকু গভীর, তা এখনো নিরূপণ করা যায়নি।”