স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ণ উত্তরা প্রতিবেদক
স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হরিজন পল্লীতে এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা, এসিড নিক্ষেপের হুমকি, প্রাণনাশের ভয় দেখানো ও বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) মতিহার থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর (১৭) বাবা জনি কুমার এ মামলা দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম আশিক (২২) উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। রাস্তায় প্রায়ই তার পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন আশিক। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি শিক্ষার্থীর মুখে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাবা জনি কুমার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আশিক নিজেকে ছাত্রদলের কর্মী ও বিএনপি পরিবারের সদস্য পরিচয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। তিনি হুমকি দিতেন— তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হলে কোনো ফল হবে না। আশিকের বাবা জাহের আলী ও ভাই রুবেলও পরিবারটির ওপর স্থানীয়ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ রাতে জনি কুমারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আতঙ্কে পরিবারটি সাময়িকভাবে এলাকা ছেড়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত সংগ্রহ করে।

নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠানো হলেও সম্প্রতি প্রি-টেস্ট পরীক্ষার কারণে রাজশাহী ফিরে এলে আশিক পুনরায় তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের দিনও মদ্যপ অবস্থায় তিনি রিমিতার পরিবারের পিছু নিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

একাধিকবার স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে জনি কুমার থানায় মামলা করেন। মামলার সাক্ষী হিসেবে স্থানীয় দুই ব্যক্তি— সোহেল রানা ও রাকিবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আব্দুল মালেক বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন.. উত্তরাঞ্চল
← প্রচ্ছদ